খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এলাকায় আবারও বেড়ে উঠছে অবৈধ কাঠ পাচার। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক রেঞ্জে জুট পারমিটের নামে অবৈধভাবে বনজ সম্পদ পাচার হচ্ছে, যার ফলে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাঠ ব্যবসায়ী জানান, তামিল রসুল নামের সাবেক বন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকাকালে কেউ অবৈধভাবে কাঠ কাটতে বা পরিবহন করতে পারত না। এমনকি পারমিট ছাড়াও কোনো কাঠ বের করা যেত না। তিনি বলেন, “একজন সৎ কর্মকর্তাকে হঠাৎ বদলি করা হলো—এটা কেউ মেনে নিতে পারছে না।”
এলাকাবাসীর দাবি, তামিল রসুলের বদলির পর থেকেই মানিকছড়ি রেঞ্জে অবৈধ কাঠ বাণিজ্য পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মানিকছড়ির দুইটি চোরাই পথ—একটি লক্ষীছড়ি হয়ে ফটিকছড়ি এবং অন্যটি আমতলী হয়ে ফটিকছড়ি—দিয়ে নিয়মিতভাবে কাঠ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এক পরিবেশ কর্মী বলেন, “অবাধে বন কেটে নিয়ে যাচ্ছে দস্যুরা। যদি দ্রুত সৎ বন কর্মকর্তাকে আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে না আনা হয়, তাহলে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।”
এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসির বলেন, “সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তার সময় কেউ অবৈধভাবে এক টুকরো কাঠও নিতে পারেনি। তাঁকে বদলি করার পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।”
স্থানীয়দের মতে, তামিল রসুল সাহেবের মতো সৎ কর্মকর্তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন বলে প্রভাবশালী মহল তাদের বদলির জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তারা দাবি করেন, পাহাড়ের বন রক্ষায় প্রশাসন যেন আবার সৎ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে বহাল করে এবং অবৈধ কাঠ পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।

