টেকনাফ মডেল থানায় কর্মরত থাকাকালীন মাত্র আড়াই মাসে এসআই বদিউল আলম যে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন, তা এই অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা ইতিহাসে বিরল। তার উল্লেখযোগ্য অভিযানগুলো হলো: ১৯৩ জন মানব পাচারের শিকার ভিকটিম উদ্ধার, ২০ জন অপহৃত ব্যক্তিকে অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার, ২৫ জন কুখ্যাত অপহরণকারী ও মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার, মাদক, বিদেশী অস্ত্র, তাজা গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, একটি চাঞ্চল্যকর মানবপাচারকালে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিশ্চিত করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি টেকনাফের একটি শক্তিশালী মাদক ও অপহরণ চক্রের সদস্যকে গ্রেফতারের পর থেকে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে কক্সবাজারের দুইজন প্রভাবশালী নামধারী সাংবাদিক। ধৃত আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তারা সরাসরি এসআই বদিউল আলমকে পেশাগত ক্ষতির হুমকি প্রদান করেন, যার প্রেক্ষিতে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে বাধ্য হন। সেই আক্রোশ থেকেই বর্তমানে ঈদগাঁও থানায় কর্মরত এই অফিসারের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই মাস আগের একটি পুরনো ঘটনাকে পুঁজি করে ‘অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো’ ও ‘টাকা লেনদেনের’ কাল্পনিক ও মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।
বাস্তবতা হলো, ঈদগাঁও টু ঈদগড় সড়কে ডাকাতি রোধে যখন এই কর্মকর্তা দিনরাত পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করছেন, ঠিক তখনই অপরাধীদের নিরাপদ জোন তৈরি করতে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ফুটেজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে এবং কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ২ লক্ষ টাকা গ্রহণের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মূলত পেশাদারিত্বের প্রতিশোধ নিতেই করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এসআই বদিউল আলম পূর্বে জিডি করেছিলেন, তারাই এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা এবং তারাই অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে এই মিথ্যা তথ্যটি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, একজন সফল ও সৎ অফিসারের মনোবল ভেঙে দিতে অপরাধী সিন্ডিকেটের এই ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ আর কতদিন চলবে?

