পটুয়াখালীর বাউফলে গভীর জানালার গ্রীল কেটে একটি বসতঘরে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভোররাত ৩ টার দিকে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের সরদার বাড়ি সংলগ্ন আসিয়া মঞ্জিল নামক একটি ভবনে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ভোররাতে জানালার গ্রিল কেটে ১৫-১৬ জনের একটি ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মুখে অবরুদ্ধ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ডাকাত দল। এসময় তাদের ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংসও নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরিবারের বাচ্চাদের স্কুলের ব্যাগও ছাড়েনি এই ডাকাত দল।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বলেন, প্রথমে তারা অস্ত্রের মুখে আমার আলমারির চাবি হাতিয়ে নিয়ে যায়। ডাকাত দল প্রায় নগদ ১ লাখ টাকা, প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণ ও ফ্রিজের মাছ-মাংস নিয়ে যায়। ডাকাত দলের সকল সদস্য কালো কাপড়ের মুখোশ পরিধান করা ছিলো বলেও জানান তিনি।’
স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী পরিবারের ডাক-চিৎকার শুনে তারা ওই বসতঘরে গিয়ে দেখেন ডাকাতরা ওই পরিবারকে স্বর্বশান্ত করে চলে গেছেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি থাকায় পরিবারের সদস্যরা ডাকাতরা যাওয়ার আগে পর্যন্ত নিশ্চুপ ছিলেন।
ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনায়স্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।’
২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বাউফল উপজেলায় ২০টির বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে জেলা পুলিশের অভিযানে একটি আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র গ্রেফতার হলে কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত ছিলো। ফের একই রকম ডাকাতির ঘটনা উপজেলাবাসীর মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’ ফলে আতঙ্কগ্রস্ত রয়েছে বাউফল উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। ফের আর ডাকাতির ঘটনা কেউ শুনতে চায় না। সচেতন মহলের একটাই দাবি রাতে পুলিশের টহল আরোও জোরদার করতে হবে।