শিক্ষক মানেই মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু সেই শিক্ষক যখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তখন শিক্ষা ব্যবস্থ্যার কী পরিণতি হতে পারে? সমাজ ব্যবস্থা কোথায় যাবে আর মাদকাসক্ত হয়ে একজন প্রধান শিক্ষক কিভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন?
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিদুল ইসলামের এর একটি টিনের বাড়িতে বসে ফেনসিডিল খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। দুই বেলা ফেনসিডিল,না খেলে পথ চলতেই পারেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে না গিয়ে বিভিন্ন টালবাহানায় মাদক সেবন করে দিন পার করে দেন শিক্ষক নামের কলঙ্ক প্রধান শিক্ষক মহিদুল। মুহিদুল এর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌরসভার মালিপড়া গ্রামে।
মাদক সেবনের জন্য তিনি বিদ্যালয়ে ঠিকমতো উপস্থিত হন না। এছাড়াও ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের সাথে এই শিক্ষকের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রচার রয়েছে। প্রতিদিন এই প্রধান শিক্ষকের ফেনসিডিল সেবন করতে হয়।মুহিদুলের এমন বেপরোয়া মাদক সেবনের জন্য শিক্ষক মহল চরম শাস্তির দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রাখারও আহ্বান জানান তার সহপাঠীরা।
বেশকিছু সিনিয়র শিক্ষক জানান, শিক্ষক একটি মহান পেশা। শিক্ষকরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দ্বারাই সমাজ তথা দেশের পরিবর্তন হয়। আমরা অনেক আগেই জেনেছি মহিদুল ফেনসিডিল সেবন করেন। তাকে অনেকবার মাদকের পথ পরিহার করতে বলেছি৷আমরা তাঁর পরিবার এর মাধ্যমে বুঝিয়েছি কিন্তু তিনি স্বীকার করতেন না। পরে দেখি তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন না। এলেও নানা কারণ দেখিয়ে চলে যান। তার শরীর সব সময় যেন কাঁপে। এতে বোঝা যায় তিনি কতবড় মাদকসেবী। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কেমন তা শিক্ষার্থীরাই ভালো বলতে পারবে।
মালিপাড়া গ্রামের তাঁর বাড়ির পাশের বেশকিছু প্রতিবেশী জানান, তিনি প্রায় চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগরে একটি বাড়িতে প্রায় সময় গিয়ে ফেনসিডিল সেবন করেন। মুহিতের ফেনসিডেল সেবনের ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি টিনের বাড়িতে বসে ফেনসিডিল সেবন করছে মহিদুল। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, মহিদুল একটি বাড়িতে বসে ফেনসিডিল সেবন করছেন।
এ বিষয়ে প্রাধান শিক্ষক মহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।আমি কখনো মাদক সেবন করিনি এটা সম্পূর্ণ ভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,শিক্ষক হিসেবে মাদক সেবন কখনোই গ্রহণ যোগ্য নই।একজন শিক্ষক একজন ছাত্রের আর্দশ সে যদি হয় মাদকে আক্রান্ত তাহলে ছাত্ররা কী শিক্ষবে?
শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মুহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এর বিষয়ে তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।