বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের বেতছড়া ত্রিপুরা পল্লীতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য উপদেষ্ট সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় যারাই সম্পৃক্ত থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বাংলাদেশ নিদিষ্ট কারো নয়। এ বাংলাদেশ সকলের, পাহাড়ি- বাঙ্গালী বিভেদ করে কোন অশান্তি সৃষ্টি করা যাবেনা। আমরা একাকার হয়ে এ দেশে বসবাস করবো। এ গিয়ে নিয়ে যাবো বিশ্বের দরবারে। যারাই অশান্তি করার চেষ্টা করবে আমরা তাদের লাগাম টেনে ধরবো। অগ্নিকান্ডে ক্ষতি গ্রস্ত ত্রিপুরা পল্লীর মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে। এ ছাড়া এ পাড়ার মানুষদের বসবাসের সকল ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে সরজমিনে বেতছড়া ত্রিপুরা পাড়া পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পুর্ব বেতছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় গভীর রাতে সংঘঠিত অগ্নিকান্ডে ১৭টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
এ সময় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিমন চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আনোয়ার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ. দা) রুপায়ন দেব, জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন ও রাজু ময় তংচংগ্যা, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেষে বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ২ বান করে ঢেউ টিন, ২৫ কেজি করে চাল ও ২টি করে কম্বল প্রদান উদ্বোধন করেন উপজেলা সুপ্রদীপ চাকমা।
ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, আপনারা আপনাদের অধিকার হাতছাড়া করবেন না। আপনাদের অধিকার নিয়েই আপনারা থাকবেন। এ জায়গা কামড়ে থাকবেন। কারণ এই জায়গা ছাড়া আপনাদের কোন কূল নাই। অগ্নিকান্ডে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই আপনাদেরকে ঘর, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য স্কুল ও পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।