কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নাজমীন সুলতানাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (সদর আমলি) রাকিবুল হাসান কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই সাইফুল্লাহ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরের মোক্তারপাড়া গ্রামের নিজ বাসভবন থেকে নাজমীন সুলতানাকে আটক করে পুলিশ। রোববার সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেয়া হলেও জেলা বারের এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারনে রোববার আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
এ কারনে সাবেক এই মহিলা এমপিকে প্রায় দিনভর আদালতের হাজতখানায় থাকতে হয়েছে। বেলা ৩টার পরে তাকে আদালতে নেয়া হয়। এ সময় আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৬ এর এমপি ছিলেন নাজমীন সুলতানা। তিনি কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্বামী আক্তার হোসেন চিনু কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়াও নাজমীন সুলতানা নবম জাতীয় সংসদ মেয়াদে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহম্মেদ এবং যুবদল সদস্য আবু তাহের কুড়িগ্রাম সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই দুটি মামলায় সাবেক এমপি আহমেদ নাজমীন সুলতানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এসআই সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সাবেক এমপিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।