ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার সন্ত্রাসের আখানগর কালীবাড়ি বাজার এলাকায় স্থানীয় ইউপি বিএনপির সহ-সভাপতি জবায়দুর চৌধুরী একদল দূর্বৃত্তকে সাথে নিয়ে দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মামুনের উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক সমাজ রাতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয়। এরপর আজ দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেন।
পরবর্তীতে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ প্রশাসন দ্রুত মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্ত ২নং আসামি মশিউর রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের অতীত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের এ ঘটনা।
রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক স্বদিচ্ছা থাকলে যে, অপরাধমুলক সকল কর্মকান্ডই নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ, তা আজ প্রমাণিত।
এভাবে অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে, যথাযথ শাস্তি প্রদান করলে ভোক্তভুগী ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবার ও পেশাগত সহকর্মীদের মধ্যে আইনের শাসন, বিচার বিভাগ ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পায়।
ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক কালের প্রতিচ্ছবি সহকর্মী সাংবাদিক মামুনের উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি থেকে সকলকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। মামুনের উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন ( Mirza Faisal Amin ) ভাই, ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ প্রশাসন, ঠাকুরগাঁওয়ের সংগ্রামী লড়াকু গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির নেতৃত্ব এবং ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ প্রশাসনের এ কর্মকান্ড গণমাধ্যমে নতুন এক দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।