ঢাকাশনিবার , ২২ নভেম্বর ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. আইন আদালত
  3. আজ দেশজুড়ে
  4. আজকের সর্বশেষ
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খাদ্য ও পুষ্টি
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. চট্টগ্রাম
  11. চাকরি-বাকরি
  12. ছড়া
  13. জাতীয়
  14. জীবনযাপন
  15. ঢাকা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাঠ চুরি ও অবৈধ কাঠ মজুতে রেঞ্জ কর্মকর্তার হুশিয়ারি

Sajjadujjaman, Staf Reporter, Khagrachhari
নভেম্বর ২২, ২০২৫ ২:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও গুইমারা উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় জুট পারমিটের আড়ালে অবৈধভাবে সেগুনবাগান কাটা এবং বাণিজ্যিক কাঠ সংগ্রহ চলছে—এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পরিবেশকর্মী, সচেতন নাগরিক এবং গোপন সূত্রের বরাতে।

অভিযোগকারীরা জানান, জুট পারমিটকে বৈধতার কাগজ হিসেবে ব্যবহার করে পাহাড়ি এলাকার মূল্যবান গাছ নিয়মিত কেটে পাচার করা হচ্ছে, যার ফলে দ্রুতগতিতে ধ্বংস হচ্ছে পাহাড়ের বনবৈচিত্র্য। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে গুইমারার আল-মদিনা ব্রিকফিল্ডের মালিক তারেক সওদাগরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর গুইমারা এলাকার একজন শক্তিশালী নেতা এবং তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে গেলে তিনি কাউকে ছাড় দেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাসহ সব সময়ই তিনি প্রভাব বজায় রেখে ইটভাটা পরিচালনা ও কাঠ ব্যবসা করে আসছেন এবং বর্তমানে তার ক্ষমতা আরও বেড়েছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পরেও বন ধ্বংসের এসব কার্যক্রম থামেনি বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

তারা জানান, ভূমিকম্পের কারণে পাহাড় দুর্বল হয়ে পড়লেও রাতের আঁধারে নিয়মিত গাছ কাটা হচ্ছে, যা যে কোনো সময় ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এ বিষয়ে মানিকছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার এলাকায় কোনো ইটভাটা নেই এবং অবৈধভাবে গাছ কাটার সুযোগও নেই; এমন কিছু ঘটলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশ বা সাময়িক অভিযান দিয়ে এসব কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব নয়; বরং স্বচ্ছ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।

স্থানীয় পরিবেশ সংগঠন ও এনজিওগুলোও ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সবশেষে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই সংবাদটি অনুসন্ধানধর্মী হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগসমূহের সত্যতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এগুলোকে ‘অভিযোগ’ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া গেলে তা সংবাদে হালনাগাদ করা হবে।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।

এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: